মাঠের লড়াইয়ে ফিরেই জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পান নাসির হোসেন (১১৫)। শতক হাঁকিয়েই ক্ষান্ত হননি। বল হাতে নিয়ে ঘূর্ণি জাদুও দেখান স্পিনিং এ অলরাউন্ডার। তার স্পিন বিষে পড়ে যায় প্রতিপক্ষের চার উইকেট।
নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ঢাকা বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৮ রানে গুটিয়ে গেলে জয়ের স্বপ্ন বুনতে থাকে রংপুর। কেননা দুই ইনিংস মিলিয়ে ঢাকার লিড যে দাঁড়ায় ২৬৩।
২৬৪ রানের লক্ষ্যটা খুব বেশি কঠিন নয় মোটেই। কিন্তু নাজমুল ইসলাম অপুর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পারফরম্যান্সে সেই লক্ষ্যটা অনেক বড় হয়ে দাঁড়াল রংপুরের সামনে। ‘নাগিন ডান্স’ খ্যাত বাঁ-হাতি এ স্পিনার ৬৪ রানে একাই ফেলে দেন প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ১০ উইকেট। তার এ নৈপুণ্যের তোড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৩ রানে সন্তুষ্ট থেকে এনসিএলের প্রথম রাউন্ডে রংপুর হার মানল ৮০ রানের বড় ব্যবধানে।
ব্যাট হাতে রংপুরের হয়ে চতুর্থ ও শেষ দিনে জ্বললেন কেবল ক্যাপ্টেন নাঈম ইসলাম। হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি তাইবুর রহমানের বলে শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ১৯৪ বলে চার বাউন্ডারিতে খেলেন ৬১ রানের দাপুটে এক ইনিংস।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাসির হোসেন সংগ্রহ করেন মাত্র ১৬ রান। আকবর আলীর ২৮ রানের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী শুভ দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২০ রান।
তার আগে সাভারের বিকেএসপি’তে ২ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে রংপুর।
সংক্ষিপ্ত ইনিংস:
ঢাকা: ১ম ইনিংস: ৩৬৫/১০ ও ২য় ইনিংস: ১২৮/১০।
রংপুর: ১ম ইনিংস: ২৩০/১০ ও ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ২৬৪): ১৮৩/১০, ৮৬.২ ওভার (নাঈম ৬১, আকবর ২৮, সোহরাওয়ার্দী ২০, নাসির ১৬, মাহমুদুল ১৫; অপু ৬/৬৪ ও তাইবুর ২/২১)।
ফল: ঢাকা ৮০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: নাজমুল ইসলাম অপু।