অল্পতেই রক্ষা পেলেন সেরেনা উইলিয়ামস। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল মাঠে এমন আচরণ করলে নিশ্চিত বেশ কয়েক ম্যাচে নিষিদ্ধ হতেন। কিন্তু টেনিসে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েও মামুলি শাস্তি পেলেন মার্কিন এই টেনিস তারকা। ইউএস ওপেনের ফাইনালে মেজাজ ধরে রাখতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে উঠেন সেরেনা। এমন কী আম্পায়ারকে ‘চোর’ ও ‘মিথ্যুক’ বলতেও পিছপা হননি। তারই পথ ধরে ভাঙেন কোড অব কন্ডাক্ট। জরিমানার পড়লেন তিনি।
১৭ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে সেরেনাকে। ইউনাইটেড স্টেটস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। মজার ব্যাপার হল, ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এই মহাতারকা আয় করেছেন ১.৮৬ মিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় জরিমানার অর্থ তার জন্য কিছুই নয়।
নাওমি ওসাকার বিপক্ষে শনিবার ফাইনালে এই কাণ্ড করেন সেরেনা। চেয়ার আম্পায়ার কার্লোস রামোসের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে উঠেন। আচরণবিধি ভাঙ্গায় নিজের পয়েন্ট আর গেম কাটার ব্যাপারটি তিনি মেনে নিতে পারেননি তিনি। রাগে র্যাকেট ছুড়ে মারেন। এমন কী বিরতির পর কোর্টে ফেরত আসতে চাননি তিনি। পরে ফিরলেও খেলায় মনোযোগ ছিল না। পরে জাপানের তারকা ওসাকার কাছে ফাইনালে হেরে বসেন সেরেনা।
ফাইনাল শেষে পর্তুগিজ আম্পায়ার রামোসের সঙ্গে হাত মেলান নি। উল্টো তাকে বলেন, ‘আপনি একজন মিথ্যাবাদী। আপনি যতদিন বাঁচবেন আর কোনোদিন আমার কোর্টে থাকবেন না। কখন আপনি আমার কাছে ক্ষমা চাইবেন? বলুন যে আপনি দুঃখিত।’ আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘তিনি ছেলেদের কাছ থেকে কখনো ম্যাচ কেড়ে নিতে পারে না! কারণ ওরা তাকে চোর বলে। আপনি চোর, আপনি আমার পয়েন্ট চুরি করেছেন।’
এমন বিস্ফোরক কথা বলার পর শাস্তির মাত্রাটা কমই হয়ে গেল মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে নারী টেনিসের সর্বোচ্চ সংগঠন ডব্লুটিএ'র সমর্থন পাচ্ছেন সেরেনা। তারা পুরো বিষয়টিকে ‘লিঙ্গ বৈষম্য’ হিসেবে দেখছে। এমন কী নারী টেনিসে পুরুষ আম্পায়ার নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন!
আরো পড়ুন-
শুভেচ্ছা বৃষ্টিতে ওসাকা, সমালোচিত..
ইতিহাস গড়ে ইউএস ওপেন নাওমি ওসাকার