খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে হাই কোর্টে দুদকের করা রিভিশন আবেদনের পেছনে ‘হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ দেখছে বিএনপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট যে দুদুক পিটিশনটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করেনি বরং সরকারের নির্দেশে এটি করেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, গণতন্ত্রের মা নামে আজকে যিনি অভিহিত, তাকে অত্যুগ্র মাত্রায় হয়রানি করা।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধারণা নিয়েও কথা বলেন।
বর্তমান আইনসভাকে একটি ‘একতরফা নিজস্ব সংসদ’ আখ্যায়িত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, যেখানে একই দল সরকার আর বিরোধী দলে একসঙ্গে থাকে, সেখান থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকার কেমন হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য।
“সুকুমার রায়ের একটা ছড়া আছে হাঁসজারু। সজারুর জারু এবং হাঁসের হাঁস। দুটো গ্রাফটিং করে হয়েছে হাঁসজাড়ু। সুকুমার রায়ের এই হাঁসজারুর মতো এটা হচ্ছে একটা হাঁসজারু পার্লামেন্ট। সেই সংসদ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি।”
আবারও ওই নির্বাচনের মত ভোট করার চেষ্টা হলে এ সরকার কোনোভাবেই ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অগ্রযাত্রা’ প্রতিহত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা রিজভী।
অন্যদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, আমিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দুদকের ওই আবেদনের শুনানি করে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ বুধবার রুল জারি করেছে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রুলে।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার রায় দেওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে। হাই কোর্ট তাকে তাকে জামিন দিলেও সেই আদেশ আপিল বিভাগে আটকে গেছে।