আদালতের অনুমতি না নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারকাজ পরিচালনার আবেদন করেছেন দুদকের আইনজীবীরা। বিষয়টি আমলে নিলেও কোনো আদেশ দেননি আদালত।
তবে বেগম জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিদেশ গমনে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলাকালীন দুদকের আইনজীবীরা এই আবেদন করেন।
চিকিৎসার জন্য গত ১৫ই জুলাই লন্ডনে যান বেগম জিয়া। তিনি বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম সচল রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে অবশিষ্ট বক্তব্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও তিনি উপস্থিত না থাকায় কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন দুদকের আইনজীবীরা। আদালতের অনুমতি না নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় বেগম জিয়ার জামিন বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন তারা।
এ নিয়ে শুনানি হয়। তবে কোনো আদেশ দেননি আদালত।
চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার বিদেশ গমনকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন তাঁর আইনজীবীরা। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে সময় আবেদনও করেন তারা। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্তকর্মকর্তাকে জেরা করেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। জেরা শেষে আগামী ২৪শে জুলাই পর্যন্ত মামলা দুটির কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন বিচারক ডক্টর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।