আদালতের অনুমতি না নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের বিষয়ে আগামী ২৭শে জুলাই আদেশ দেবেন আদালত। সোমবার সকালে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকালে বেগম জিয়ার অনুপস্থিতেই বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে শুরু হয় জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম। আদালতকে অবহিত না করে বিদেশ যাওয়ায় এ দিনের কার্যক্রমের শুরুতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার জামিন বাতিল করার আবেদন করেন দুদকের আইনজীবীরা। এর আগে গত ২০শে জুলাই জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেন তারা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে করা দুটি আবেদন নিয়েই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। পরে ২৭শে জুলাই পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মূলতবি করেন আদালত।
এদিকে, আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বেগম জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনের সঙ্গে বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ব্যারিস্টার খোকনকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেয়ার পরও বিচার পরিচালনা নিয়ে একতরফা মন্তব্য করতে থাকলে বিচারক তাকে আটকের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ব্যারিস্টার খোকনের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবীরা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রত্যাহার করেন আদালত।