রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারি শিমূল বিশ্বাসসহ বিএনপির ৩৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো।
ওই মামলার ৫৩ জন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ৩৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট এই ৩৯ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পল্টন থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- শিরিন সুলতানা, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, মীর শরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব প্রমুখ।
এ মামলায় ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু ও মনির হোসেন। এছাড়া, জামিনে রয়েছেন-এম কে আনোয়ার, আমানউল্লাহ আমান, শওকত মাহমুদ, রুহুল কবির রিজভী ও খায়রুল কবির খোকনসহ ১২ জন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে পল্টনের স্কাউট ভবনের সামনে একটি বাসে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঐ ঘটনায় এএসআই জিয়াউল হক বাদি হয়ে পল্টন থানায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল অবরোধ চলাকালে কাকরাইলে স্কাউট ভবনের পাশে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওইদিনই পল্টন থানায় এএসআই জিয়াউল হক বিএনপির ৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল পল্টন থানার এসআই দেবীকান্ত বর্মন ৫৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।