বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, ‘পুলিশের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়।’
‘৪৮ বছরে তিন বার যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা খুব বড় শক্তিশালী নয়। তাদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে কৌশল নিতে হবে। আন্দোলন করতে হবে। রাস্তায় নামতে হবে। মানুষ পাশে আছে। কারণ এদেশের আশি ভাগ মানুষ বিনা ভোটের সরকার মেনে নিতে পারেনি,’ যোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত 'অপরাজেয় বাংলাদেশ' নামের একটি সংগঠনের মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনো পরাজিত হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার যখন বিনা ভোটে সরকারে আসে, তখন দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ হারিয়ে ফেলে। এ সরকার মানুষকে সুখ দিতে পারেনি। সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে সাহস হারানো যাবে না, ধৈর্য্য ধরতে হবে। আর মহাসচিবের বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন যে বিএনপির দাবি হাস্যকর ও ভ্রান্ত।' হানিফ সাহেব আপনি বুকে হাত রেখে বলেন, আপনারা যতবার ক্ষমতায় এসেছেন ততবার জনগণের দুর্ভোগ আপনারা বাড়িয়েছেন কি না। ততবারই আপনারা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন। ততবার আপনারা জনগণের দাবিগুলো উপেক্ষা করেছেন। ততবার আপনারা গণতন্ত্রের বুকে লাথি মেরেছেন। ভোটাধিকার ধ্বংস করেছেন। তাই আপনার হাস্যকর ও ভ্রান্ত কথাটা আমাদের জনগণ মেনে নিতে রাজি না।’
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তৃণমূল প্রস্তুত আছে মহাসচিব মহোদয়। তাই আন্দোলনে দাঁড়ানোর সাহস আমাদের আছে। কর্মসূচি দেন। মানুষ প্রতিবাদ করতে চায়। বিএনপিকে যত কোণ ঠাসা করে রাখা হচ্ছে, তত শক্তিশালী হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ মানুষ কথা বলতে পারে না। কথা বলতে দেওয়া হয় না। জনসভা করার অনুমতি একদিন আগে দেন। এটা গণতন্ত্রের কোনো রূপ না। আজ আমাদের অবহেলা করে কথা বলবেন না। আমাদের রাজাকার বানাবেন না। কারা রাজাকার আমরা সব জানি।’
ধর্ষণ ও বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে ফারুক বলেন, ‘ছোট শিশুকে যখন ধর্ষণ করা হয়, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু তা তিনি করেননি। বিচার না করে বন্দুকযুদ্ধের নাম করে মেরে ফেললে মেনে নেব না।’
সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সালাম আজাদসহ অনেকে।