বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বাজেট দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই। বাজেটে সাধারণ মানুষে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এটা ঋণ নির্ভর বাজেট। এর মূল্য জনগণকে দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, আজকে বাজেট ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা একটি শ্রেণীর হাতে কুক্ষিগত হয়ে গেছে। তারা দেশের অর্থনীতি, নীতিমালা প্রণয়নসহ তারা দেশ পরিচালনা করছে। সার্বিকভাবে অলিগার্কিক অর্থনীতেতে পরিণত করছে বাংলাদেশকে। বাজার অর্থনীতিতে পরিচালত হচ্ছে না। এক শ্রেণীর মানুষদের কাছে বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি জিম্মি হয়ে আছে।
তিনি বলেন, 'এরকম একটি অনির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাজেট দেওয়ার নৈতিক অধিকারই নেই। যে বাজেট দিয়েছে এবং দেশে যে ধরনের অর্থনীতিক ব্যবস্থা চলছে, এটা একটি শ্রেণীর সুযোগ সুবিধার বাজেট। জনগণকে বাইরে রেখে যেভাবে সরকার নির্বাচন করেছে, তেমনি অর্থনীতিতেও একই কাজ করছে। জনগণকে বাইরে রেখে একটি শ্রেণী এটাকে কুক্ষিগত করেছে। নির্বাচনে যেরকম বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, তেমনি এই বাজেটেও জনগণের প্রতাশা পূরণ হবে না।'
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র অনির্বাচিত বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। সামষ্টিক অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা নষ্ট করে দিয়েছে। সরকার যে প্রবৃদ্ধির কথা বলছে, তা কোনো ইন্ডিকেটরেই ধরে না। এটা ঋণ নির্ভর বাজেট। এর মূল্য জনগণকে দিতে হবে। পার ক্যাপিটাল ঋণ যা বাড়বে তা দেশের মানুষকে পরেোশধ করতে হবে। এটা হচ্ছে কেন? এ কারণে হচ্ছে যেহেতু তারা নির্বাচিত নয়। অর্থনীতি একটা শ্রেণীর হাতে চলে গেছে। আর তারাই বাজেটের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এটা অন্য কেউ নিচ্ছে না।'
‘এই বাজেটের পর জনগণ পাবে, বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলের মূল্য বৃদ্ধি। টাকাটা আসবে কোথা থেকে? একটা জিনিস বুঝতে হবে, ঋণ নির্ভর অর্থনীতির কথা বলছি, এই টাকাটা কে দেবে? বাংলাদেশের মানুষকেই দিতে হবে। ১০০ মিলিয়নের প্রজেক্ট যদি ৩০০ মিলিয়ন হয়, এই টাকাটা বাংলাদেশের মানুষদের দিতে হবে না? কর, ভ্যাট বা তেল, বিদ্যুতের উচ্চ মূল্যের মাধ্যমে দিতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকেই এর মূল্য দিতে হবে।’