জামায়াত কি পাকিস্তানি ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, প্রশ্ন দুদুর

, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2025-01-23 18:17:47

জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান ধারা থেকে বের হতে পেরেছে কিনা, তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও জামায়াত নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেছিল। হঠাৎ করে তাঁর (জামায়াতের আমির) এমন বক্তব্যে আমাদের সেই কথা মনে করিয়ে দেয়। পাকিস্তানি ধারা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পেরেছে কি? সেটা আগে পরিষ্কার করলে একটু ভালো হতো।’

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান দাবি করেছিলেন, ‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে। একটা সেনাবাহিনী, আরেকটা জামায়াতে ইসলামী।’

এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে শামসুজ্জামান দুদু ওই বক্তব্য দেন।

বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতিসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের জন্য সব সময় প্রস্তুত। আমরা ২০১৪ সাল থেকে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কাজ করে আসছি। আমরা সব সময় জনগণের ওপর নির্ভরশীল একটি রাজনৈতিক দল। সে জন্য আমরা মনে করি, দেশের কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও পেশাজীবীদের যে অধিকার, সেটা এই মুহূর্তে ৩১ দফার মধ্য দিয়ে বিএনপি একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থায় দেশকে নিয়ে যেতে পারবে। আমরা খুবই আশাবাদী, যেকোনো সময় নির্বাচন হলে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী শক্তি ভালো করবে।’

সম্প্রতি বরিশালে চরমোনাই পীরের দরবারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের আমির। পরে চরমোনাই পীরের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন তিনি। এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ফ্যাসিবাদীর সহযোগী দলের মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবে না।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘রাজনৈতিক মেরুকরণে জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে যার যার অবস্থান থেকে আগামী নির্বাচনকে মোকাবিলা করতে চায়। একটি স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা সিল মারা, যারা একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিল এমন একটি দল। আরেকটি রাজনৈতিক দল, যারা গত ১৬ বছরে যখন বিএনপিসহ কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, তারা বারবার শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণই করেনি, মার খেয়ে রক্তাক্ত হওয়ার নাটকও আমরা দেখেছি। অর্থাৎ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আর একটা ফ্যাসিবাদীর সহযোগী দল তাদের মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবে বলে আমরা মনে করি না; বরং যারা গণতান্ত্রিক ধারায় আছে, তারা নিষ্কলুষ হবে। মেরুকরণ যা-ই হোক, জনগণ সেটাকে অনুমোদন করবে। আর সেটাই হবে গণতান্ত্রিক।’

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ, জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর