বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে 'রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' শীর্ষক ঢাকা বিভাগ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।।
তিনি বলেন, এখানে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন শিক্ষায় জিডিপির ৫ শতাংশ, এর বেশি না কেন? আমাদের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন কমপক্ষে ৫ শতাংশ বরাদ্ধ দেয়া হবে। আমি তার সাথে একমত। আমাদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার মতে ওই এলাকার অন্যতম মেধাবী মানুষটা হওয়া উচিৎ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। মৌলিক মূল্যবোধকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিতে হবে। দুর্নীতিকে যদি নির্মুল করতে হয় তাহলে অবশ্যই প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্যান্য যারা আছে তারাও তাদের কাজ করবে। আমাদের প্রাইমারি শিক্ষকের কোয়ালিটি উন্নিত করার জন্য তাকে সে কমফোর্টটা দিতে হবে। ’
এরপরের যে শিক্ষা আছে সেগুলোর ওপরও আমাদের জোড় দিতে হবে তবে সবার আগে প্রাইমারি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে বলেও যোগ করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, অনেকেই অনেক সংস্কারের কথা বলছেন। আমরা দুই বছর আগে যখন এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ চিন্তাও করেনি তখন বিএনপি এই ৩১ দফা প্রস্তুত করেছে। এখন হয়তো অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারেন। আমরা বার বার বলেছি, শুধু ৩১ দফা থাকবে তাই নয় আরও কেউ ভাল কিছু বললে সেটা আমরা গ্রহণ করবো।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির তারেক রহমান বলেন, ৩১ দফাকে মাঠে নিয়ে যেতে হবে। শুধু ঘরে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। এখানে কিন্তু প্রান্তিক মানুষেরও কথা আছে সেটা প্রান্তিক মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। উঠান বৈঠক বলতে যে সংস্কৃতি আছে আমাদের সে উঠান বৈঠকে বিষয়টিকে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি যদি না হয় তাহল যে সংস্কারই করি তা কাজে আসবে না। যেই হউক জবাবদিহি থাকতে হবে জনগণের কাছে। এটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে অবশ্যই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর যে কোনো দেশেই ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহি তৈরি হয়।
ষড়যন্ত্র থেমে নেই উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আপনারা সবাই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। আপনারাও কিন্তু বুঝছেন, কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জনগণকে সাথে রাখতে হবে, থাকতে হবে। ৩১ দফার প্রত্যেকটি কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করলেই কিন্তু জনগণ জবাব চাইতে শুরু করবে। মেম্বার থেকে প্রধানমন্ত্রী যেই হউক যখন সে জানবে জনগণের কাছে যেতে হবে তখন সে কোনো কিছু করার আগে দুইবার ভাববে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মশালা সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন।