রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক তা বিএনপিও চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসাকেই মূল অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সংখ্যালঘুদের নিয়ে, গার্মেন্টস নিয়ে এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একটা নির্বাচিত সরকার থাকলে এ ষড়যন্ত্র হবে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ক্ষমতার জন্য নয়, দ্রুত নির্বাচন না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। পরবর্তী পরকল্পনা নিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
জনগণের নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের নামে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন সবাই দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু এতদিন স্বৈরাচারের সামনে কেউ এসব দাবি জানায়নি। রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এমন সংকট তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, গণতন্ত্রের জন্য স্পেস তৈরি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা মাধ্যমেই তো আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। এখন নতুন যারা আসছেন তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। রাজনীতি একটি সাইন্স এজন্যই তো বলা হয় পলিটিকাল সাইন্স। বিএনপি কি ক্ষমতায় জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? নো। দ্রুত নির্বাচন দিলে দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।
শিক্ষা কাঠামোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৫৩ বছরে আমরা কি সাফল্য অর্জন করেছি শিক্ষাখাতে। বিশ্বের এক হাজার ইউনিভার্সিটির মধ্যে আমাদের একটি ইউনিভার্সিটি সিরিয়ালে আসে না। কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি না। দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শেখ হাসিনা। দেশের সব অর্জন ১৫ বছর শেষ করেছে সে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি ড. হারুন আল রশীদ, প্রফেসর ড. আবু আহমেদ প্রমুখ।