বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলমের জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুই বিএনপি নেতার জামিন আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ শনিবার এ আদেশ দেন।
হাই কোর্টে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় আমান ও নাজিমকে।
শনিবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আবেদ রাজা। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের কোনো আবেদন ছিল না।
জামিন আবেদনে বলা হয়, এটা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা। গ্রেপ্তার দুজন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না, এজাহারেও তাদের নাম নেই।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দুই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারা অসুস্থ দাবি করে আইনজীবীরা তাদের জন্য প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা ও যথাযথ চিকিৎসার আবেদন করলে বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলার রায় সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপিকর্মীরা। বেধড়ক পিটুনির শিকার হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য, ভাংচুর হয় তাদের গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র।
ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় দুটি এবং রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। সেখানে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এরপর ধরপাকড়ের মধ্যে শুক্রবার রাতে মহাখালী ডিওএইচএস এর একটি বাসা থেকে আমানউল্লাহ আমান ও নাজিমউদ্দিন আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ দুজন ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আনিসুল রহমান খোকন, হাসান মামুন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মতিউর রহমান মন্টু সহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।