স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবারই করতে হবে: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-12 14:28:45

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিপক্ষে জোটের শরিকদের ও দলীয় প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় পার্টিকে কোনো সিট ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাদের করতেই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া সিট ছেড়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই তাদের আসতে হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে? প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমরাও করবো শরিকদেরও করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনের রেজাল্ট আনতে হবে।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আজও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার জন্য ইতিমধ্যে অনেকে বলেছেন। ইউরোপের ইউনিয়নের নির্বাচন বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে এবং নির্বাচন পর্যন্ত তারা থাকবে। ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি, আরব লীগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে। পর্যবেক্ষকদের তালিকা আরও আছে সেটা শিগগিরই জানা যাবে।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে আছে, তাদেরকে বলা হয়েছে নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনে চলতে হবে। বলপূর্বক বা ফ্রি স্টাইলের কোন নির্বাচনের ভূমিকা কেউ নিবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা গণতন্ত্রেরই বিষয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের শরিকদের কারো কোনো আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমন উত্তরে তিনি বলেন, ইলেকশনে বিনা প্রতিযোগিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা তো স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে স্বস্তি অস্বস্তির কোন কিছু নেই। আমাদের সংসদীয় দলের প্রধান ও জোটের প্রধান যেটা বলেছেন, সেটার ব্যাপারে কারো কোনো অস্বস্তি থাকলে বিচার বিবেচনা করার সুযোগ নেই। এই অস্বস্তি অমূলক। এটা অলরেডি সেটেল হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না। সেটা আওয়ামী লীগ হোক, স্বতন্ত্র হোক। কেউ গায়ের জোরে কিছু করতে পারবে না। সে সুযোগ নাই।

দল থেকে স্বতন্ত্র দাঁড় করানো গঠনতন্ত্র বিরোধী কিনা এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগেরটা আগে, আজকেরটা আজকে। আগামীকালেরটা আগামীকাল। পরিস্থিতি পুনঃমূল্যায়নের নিরিখে আমরা মূল্যায়ন করি। এটাই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা।

৪৭/১১ ধারা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন বিষয়ে কোনো জটিলতা দেখা দিলে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে আমাদের দলীয় প্রধান ব্যবস্থা নিতে পারেন। দেশের সার্বিক গণতন্ত্র যেখানে সংকটের মুখে, বিএনপিসহ বিরোধী দল গণতন্ত্রের প্রতি নির্বাচনের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের সভাপতির বিশেষ দায়িত্ব পালনের সুযোগও আমাদের গঠনতন্ত্রে রয়েছে।

দলের অনেক প্রার্থীর সম্পদ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে এ বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি তো ওইভাবে দেখি না। আমি দেখব নির্বাচন কমিশন কি বলছে। নির্বাচন কমিশন অনেকের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন যদি কাউকে দুর্নীতিবাজ মনে করে সেটা তাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে তারা মন্তব্য করবে। যদি দুর্নীতি দমন কমিশন এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন না করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়, অনুমতিপ্রাপ্ত কাউকে তো এই মুহূর্তে আপনি দুর্নীতিবাজ বলতে পারেন না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর