সোমবার দেশে ফিরতে পারেন এরশাদ

বিবিধ, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 09:34:13

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দেশে ফেরা বিলম্বিত হচ্ছে। প্রথমে ২২ ডিসেম্বর (শনিবার) ফেরার কথা থাকলেও নতুন করে আবার ২৪ ডিসেম্বর রাতে (সোমবার) নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই দিন রাত ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফিরবেন তিনি। 

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) এরশাদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতি জনিত ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এরশাদ। রক্তের এ জটিলতা অনেকদিন ধরে চললেও সম্প্রতি জটিলতা অনেকটা বেড়েছে। 

গত ২০ নভেম্ববর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গণসাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এসেছিলেন এরশাদ। এরপর বাসা ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি। কিন্তু নেতাকর্মীদের সামনে আসেননি। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে বনানী অফিসের সামনে কয়েক মিনিটের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। গাড়িতে বসেই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাসায় চলে যান।

এরপর ১০ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স যোগে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, এপিএস মো. মনজুরুল ইসলাম ও ব্যক্তিগত স্টাফ আব্দুল ওয়াহাব মিয়া।

এদিকে এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নির্বাচনের বেহাল অবস্থা। মহাজোটগতভাবে পাওয়া ২৬ আসনের মধ্যে তিন আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আবার উন্মুক্ত ১৪৬ আসনের অনেক প্রার্থীকে নির্বাচনে নানা রকম বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিক করণীয় কি তাও বুঝতে পারছেন না জাপার এসব প্রার্থীরা।

লক্ষীপুর-২ আসনটি মহাজোট থেকে ছাড়া হয় জাতীয় পার্টির জন্য। এ আসনে প্রার্থী হন বর্তমান এমপি মোহাম্মদ নোমান। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়ে গেছেন। তার পক্ষেই মাঠে নেমেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাপার এই প্রার্থী।

তিনি এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘নিজ দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণের অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় সিদ্ধান্তহীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করা। মহাজোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয় সন্দেহ, অবিশ্বাস, বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া ও কেন্দ্রের কোনো সহায়তা না পাওয়া নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

একই রকম জটিলতায় ভুগছেন সিলেট-২ ও নারায়নগঞ্জ-৩ আসনের দুই প্রার্থী। এ আসন দু’টি মহাজোট থেকে জাপার জন্য ছাড়া হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে রয়ে গেছেন। তাদের পেছনেই খাটছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। যে কারণে এই দুই আসনের জাপার প্রার্থীরা অনেকটা ক্ষুব্ধ। কিন্তু কার কাছে যাবে, কে প্রতিকার নেবে তার কোনো দিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না তারা।

আবার খোদ এরশাদের দুই নির্বাচনী এলাকাতেও চলছে ঢিমেতালে প্রচারণা। রংপুর-৩ আসনে এখন আওয়ামী লীগের লোকজনকে সেভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেছে, তাদেরকে বলাই হয়নি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার জন্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর