বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি ও জেলাসদর-থানা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর অভিযান, ১৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি এবং ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) জেলাসদর ও থানা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি ঘোষণার আগে ফখরুল বলেন, ১৫০ বছরের পুরনো কারাগারে এ দেশের ‘সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা’কে (খালেদা জিয়া) রাখা হয়েছে। অথচ অনেক আগেই এখানকার কার্যক্রম কেরাণীগঞ্জে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখানে শপিং মল ও পার্ক করার কথা চলছিল। অথচ তাকে এখানে রাখা হয়েছে। এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এটা একটা নীলনকশার বাস্তবায়ন।
আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যেন অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার ‘নীলনকশা বাস্তবায়ন’ করছে অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নীলনকশার অংশ হিসেবে তারা বিএনপিকে কোনো স্পেস দিচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বাধা দেওয়া হচ্ছে, নাশকতার কথা বলে সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলে, সেখানে কীসের নাশকতা? এ পর্যন্ত তারা ৪ হাজার ৩০৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দিতে ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে ফখরুল বলেন, এই ষড়যন্ত্রের একটাই উদ্দেশ্য, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতায় রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতির দায়ে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হলে তার মুক্তির দাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন, ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩ ঘণ্টা অনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।