মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিষবাস্প এখন যেন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। আজ বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী সদরের বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল।
পটুয়াখালী জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে বেপরোয়া নৃশংস হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে বিএনপি।
এ হামলায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রী পারভীন, জেসমিন, লাইজু ও খাদিজাসহ ৮ জন এবং ছাত্রদল নেতা কাজী সোহেল রানা, হৃদয়, আতিকুর রহমান, রুবেল, সোহেল, রুহুল আমিন, সাইফুল, ইয়াকুবসহ ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত হয়।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিষবাস্প এখন যেন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশ্বে গণধিকৃত সকল স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন বর্তমান আওয়ামী সরকার অবর্ণনীয় দু:শাসন জারী রেখে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে এখন চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর মহাসমারোহে মধ্যরাতে ভোট ডাকাতির পর সরকারের আশকারায় দুষ্কৃতিকারীরা দেশব্যাপী লাগামহীন খুন জখমে মেতে উঠেছে। স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ দু:শাসনের যাঁতাকলে দেশের মানুষ সর্বদা পিষ্ট হচ্ছে। অজানা আতংক আর ভয়াল পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত।
তিনি বলেন, আজ ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র হামলা এবং নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো-দেশে আইনের শাসন নেই, দেশ যেন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। রাজনীতি করার যে ন্যুনতম সুযোগ রাখা হয় নাই, তা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আইনের শাসনের অনুপস্থিতি এবং সাজা পাবার পরও সরকারের আনুকূল্যে পার পেয়ে যাচ্ছে বলেই সন্ত্রাসীরা বীর দর্পে দেশব্যাপী বিরোধী দলসহ প্রতিবাদী মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করতে আরও উৎসাহিত হচ্ছে।
পটুয়াখালীতে শান্তিপূর্ণ একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাপুরোষোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান তিনি। এই অমানবিক ও নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবিও জানান ফখরুল।