করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত দশ দিনের সাধারণ ছুটির প্রথম দিনে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় রংপুর নগরীতে সুনসান পরিবেশ বিরাজ করছে। ফাঁকা হয়ে গিয়েছে পুরো নগরী। কিছু ফার্মেসি আর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রীর দোকান খোলা থাকলেও নেই ক্রেতাদের তেমন ভিড়।
নগরীতে মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোবাইক ও সাইকেল চলাচল করছে। তবে তা সীমিত আকারে। সড়কে কোনো জটলা নেই। সব কিছু বন্ধ থাকায় সরকার ঘোষিত সঙ্গরোধের নির্দেশনায় মিলছে সাড়া। তবে নগরীর অলিগলিতে সাধারণ মানুষের ঘোরাঘুরি বন্ধে অ্যাকশনে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকেই পৃথক পৃথকভাবে র্যাব, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। টহলের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাইরে যাওয়া লোকজনকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে মাস্ক ছাড়া বের হলে দেওয়া হয়েছে কান ধরে উঠা বসা করার মত শাস্তি।
এদিকে প্রশাসনের তৎপরতার পাশাপাশি রংপুর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস আজও বেশকিছু স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে। এছাড়াও সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলার চোখ, জনতার রংপুর, আমরাই পাশে, তারুণ্যের আলো, রংপুর উন্নয়ন ফোরাম ব্যক্তি উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতে জীবাণুনাশক স্প্রে প্রদান করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ফেস মাস্ক, লিফলেট বিতরণ ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে সংগঠনগুলো।
অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে নগরীর হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগী ভর্তির হার অস্বাভাবিকভাবে কমে এসেছে। এক হাজার শয্যার রংপুর মেডিকল কলেজ হাসপাতালে এখন বেশির ভাগ বেডই ফাঁকা। নেই রোগীর চাপ। একই চিত্র বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো।
এদিকে সারা বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন, চিকিৎসক ও সচেতন মহল। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতিটি দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি নিজেদের নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকতে বাধ্য করছে। আমাদেরও সরকারি নির্দেশনা মেনে সঙ্গরোধে ঘরে থাকা জরুরি। আপাতত সঙ্গরোধের বিকল্প নেই।