করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রিটেন ছাড়া আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণায় ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার ( ২১ মার্চ) উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা ইউরোপীয় কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ রাষ্ট্রের নাগরিকদের ঢাকা থেকে কেমন করে নিজ দেশে ফিরতে পারবে? তারা এ-ও জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে কোনো কূটনীতিক করোনা আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জবাব দেওয়ার বিষয়টিও জানান।
তিনি বলেন, ‘ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধ নয়। বিশেষ প্রয়োজনে লোকজনের যাতায়াতের বিষয়টি বিবেচনায় যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকং চারটি রুট চালু রাখা হচ্ছে। ইউরোপীয় কূটনীতিক ও নাগরিকরা ওই রুট ব্যবহার করে নিজ নিজ দেশ বা তাদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে পারেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা একসঙ্গে যেতে চাইলে সবাই মিলে একটি বিমান ভাড়া করতে পারেন। সেই চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা যেতে পারেন। বাংলাদেশ তাদের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার মধ্যরাত থেকে ১০টি দেশের সঙ্গে প্লেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এগুলো হলো- কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত। এসব দেশ থেকে আসা কোনো প্লেন বাংলাদেশে নামতে দেওয়া হবে না।’