সারাবিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। বিগত দুই মাস আগে থেকেই এসব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ কিট মজুদ আছে। করোনা মোকাবিলায় সব থেকে বেশি দরকার সচেতনতা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঙ্গরোধে থাকতে হবে এবং এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। না হলে জরিমানা ও জেলের মতো ব্যবস্থা নিতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্ম শতবার্ষিকী ও ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে টাইপ-১ ডায়াবেটিক সেবা কর্নার উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
টাইপ-১ ডায়াবেটিক সেবা কর্নার উদ্বোধনের আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মুজিব বর্ষে আমরা সারা বাংলাদেশে আটটি জায়গায় ১৮ হাজার ডায়াবেটিস টাইপ-১ আক্রান্ত শিশুকে বিনামূল্যে ইনসুলিন দেব। এখন করোনার কারণে মুজিব বর্ষের অনেক প্রোগ্রামই স্থগিত ও সংক্ষিপ্ত করা হলেও করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে এসব কার্যক্রম আমরা আবার করব।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিক সেবা কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালকসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।