জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৭৭টি মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত মুজিব বর্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার খুলতে পেরেছি।
বঙ্গবন্ধুর কূটনীতিতে যত অর্জন তার তথ্য এখানে সংরক্ষিত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় যে সকল রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তিনি যে বিদেশে ভ্রমণ করেছেন তার ছবি ও তথ্য থাকবে এ কর্নারে।
বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ ও নীতি আমাদের দিয়ে গিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত তা বলবৎ রয়েছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা এখনও সেটা ধারণ করে আছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নারে তার বই, ভিডিও, ছবি সব সংরক্ষিত থাকবে যেন প্রবাসীরা তা পরিদর্শন করতে পারে। মুজিব বর্ষে সারা বছর ধরে আমরা এই কাজ করব।
বঙ্গবন্ধুর যে আত্মত্যাগ, নির্যাতিত মানুষের জন্য তার যে প্রেম, শুধু বাংলাদেশি নয় সকল মানুষের সাফল্যে জয়গান গেয়েছেন, সেই পাঠ আমরা সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে চাই। সেই সাথে আমরা যে গত কয়েক বছরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে যে সাফল্য অর্জন করেছি সেটাও আমরা পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে চাই। বাংলাদেশের ব্রান্ড নেম চালু করতে চাই, বাংলাদেশ ইজ এ ল্যান্ড অব অপরচুনিটি, ভাইব্রান্ট ইকোনমি। ল্যান্ড ইজ এ গ্রেট ম্যান বঙ্গবন্ধু। যিনি সারাজীবন মানুষকে বিশেষ করে বাঙালিকে ভালোবেসেছেন। ঘাতকরা তাকে নির্মূল করলেও তার বাণী চিরন্তন রয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু কর্নারে অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেলে লেজার কাট করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপিত হয়েছে। বাংলায় ও ইংরেজিতে লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দেয়ালের দু’পাশে স্থাপিত হয়েছে। এখানে টিভি মনিটরে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে। বিদেশি কূটনীতিক ও দর্শনার্থীরা যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জানতে পারে সেজন্য এ কর্নারে বঙ্গবন্ধুর ওপর বিভিন্ন ভাষায় লিখিত বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের মন্তব্যের জন্য ‘ভিজিটর’স বুক’ রাখা হয়েছে।