পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকারের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এই চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা সমূহের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
বুধবার (১১ মার্চ) গুলশান লেক-শোর হোটেলে এসডিজি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতি বছর ৬৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়নে শতকরা ৬৪ ভাগ অর্থ বেসরকারি খাত থেকে আসে। তাই এতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ভূমিকা অপরিসীম।
দেশের মানবাধিকার সুরক্ষিত হলে অনেকাংশে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার সূচকের ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে।
গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বর্তমানে এসডিজি বাস্তবায়নের সময়ে এটা নিয়ে এখন আর চিন্তা করার কিছু নেই। এখন এতে তরুণ এবং সংস্থা সমূহের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে। এছাড়া আগামী তিন মাসের মধ্যে এসডিজি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার পর্যালোচনার মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে বলে সেমিনারে বক্তারা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদা কে চৌধুরী, দক্ষিণ এশিয়ার ওয়াটার এইডের ডিরেক্টর মো. খাইরুল ইসলাম, সিপিডির আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ইউএনডিপির প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।