জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মেহেরপুরে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা পার্কে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষা আমাদের একটি গর্বের বিষয়। আমাদের সন্তানেরা যেন সুন্দর বাংলা বলতে পারে, শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে পারে সেজন্য আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে, যেন তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রতিমন্ত্রী সকল অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মনের জাগরণ ও মেধার বিকাশে বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য আমাদের বেশি করে কবিতা, সাহিত্য, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী পড়তে হবে। পাশাপাশি আমাদের বাঙালি জাতির গর্বের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সময় তিনি সন্তানদেরকে বেশি করে বই উপহার দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, যে জাতি তার অতীতের ইতিহাস জানে না সে জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই নতুন প্রজন্মকে আমাদের গর্বের ইতিহাস জানাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ দুটি অর্জন হচ্ছে, ভাষার অধিকার আদায় এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ গড়া। এখন আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান মালেক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের চারজন ভাষা সৈনিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ সময় সম্মাননা প্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, মোঃ ইসমাইল হোসেন, ননী গোপাল ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ গোলাম কাওসার।