চালু হলো ই-পাসপোর্ট

ঢাকা, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 07:52:00

অনেক জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এবং অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম ঘোষণার পর ইলেকট্রনিক বাটন চেপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সামগ্রিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনারও উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তার ই-পাসপোর্টটি তুলে দেন। দেশের নাগরিকদের মধ্যে প্রথম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ই-পাসপোর্ট করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় ই-পাসপোর্ট বিষয়ক তথ্য চিত্র তুলে ধরেন ই–পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এবং বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্টও কার্যকর থাকবে।

আরো পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হলো: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম ধাপে রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যেই চালু হবে ই-পাসপোর্ট সেবা। প্রতিদিন ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

এ পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে এবং ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন সহজ হবে।

বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট নিয়ে কাজ করছে জার্মান কোম্পানি ভেরিদোস জিএমবিএইচ। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ডিপিআই ও ভেরিদোস কোম্পানি মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি ই-পাসপোর্টের জন্যও চুক্তি স্বাক্ষর করে।

ই-পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে চেক-ইন ও চেক-আউট করতে হবে না। ই-গেট দিয়ে সহজেই এ কাজ করা যাবে। ৪৮ ও ৬৪ পাতার পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টে বসানো থাকে স্মার্টকার্ড প্রযুক্তির মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ও অ্যান্টেনা। যাতে সংরক্ষিত থাকে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত সব তথ্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর