বাবুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন, পর্যালোচনা করছেন চিকিৎসকরা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 01:51:34

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা হেফাজতে মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুর ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হননি চিকিৎসকরা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) আবু বক্করের ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘আবু বক্করের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন আসলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’

আরও পড়ুন: থানায় আত্মহত্যার দায় এড়াতে পারে না পুলিশ

কোথায় কোথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বক্করের গলায় আমরা কালো দাগ দেখতে পেয়েছি। সেটি ফাঁসির দড়ির দাগ কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই। এছাড়া তার মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে যেসব আঘাতের চিহ্ন আমরা পেয়েছি তা একজন মানুষ মরার জন্য যথেষ্ট নয়। যেসব জায়গায় আঘাত রয়েছে সেসব জায়গার টিস্যু সংগ্রহ করে আমরা পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।’

গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পুলিশের হেফাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৪৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়। থানা হাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে আবু বক্কর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, আবু বক্করকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে এক নারীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরে রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে পুলিশের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সংবাদ পান পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু

নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ‘আবু বক্করকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট করে বলছে না পুলিশ। তার মুখসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি আত্মহত্যা হতে পারে না। আবু বক্করকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

অন্যদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাতরাস্তা এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারী ও আবু বক্করকে আটক করে থানায় ফোন করেছিলেন স্থানীয়রা। এরপর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু বক্করকে থানায় নিয়ে আসে।’

তিনি বলেন, ‘ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর হাজতে থাকাকালে আবু বক্কর আত্মহত্যা করেন। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর