মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ হাইকমিশনার এক ভিডিও বার্তায় মুজিববর্ষকে স্বাগত জানান। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর লন্ডন সফর স্মরণ করেন।
রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার হিসেবে আমি যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা স্মরণ করে মুজিববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে মুক্ত হন, তখন তিনি বাংলাদেশে আসার পথে যুক্তরাজ্য সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ-এর সঙ্গে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে স্যার এডওয়ার্ড হিথ এই সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে পার্লামেন্টে বলেন, ‘যখন শেখ মুজিব আমার সঙ্গে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করতে আসেন তখন আমি তাকে ভারতীয় উপমহাদেশীয় তিনটি দেশের পরস্পরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার নীতির বিষয়ে অবগত করি। এ বছর তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশকে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করব।’
‘আমি আনন্দিত যে, আগামী ১০ জানুয়ারি মুজিব বর্ষ উদ্বোধন করতে এই ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরায় প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আমি এই পুনঃপ্রণয়ন দেখাতে প্রত্যাশা করছি।’
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর এই সফর যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ও দু’দেশের মানুষের বন্ধুত্বের ভিত্তি। সে সময় থেকে যুক্তরাজ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী এবং এ দেশের মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধির শুভাকাঙ্ক্ষী।’
বাংলাদেশকে স্মীকৃতি প্রদান করা প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য (১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের এই স্মৃীকৃতি বাংলাদেশকে অন্যান্য কমনওয়েলথ ও পশ্চিম দেশের স্মীকৃতি পেতে সাহায্য করে। ইউকে-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ে দু’দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও মজবুত হয়েছে। যুক্তরাজ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনকে স্বাগত জানায়। যুক্তরাজ্য প্রত্যাশা করে আগামীতে দু’দেশের মানুষের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।’