হঠাৎ করেই রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া স্বাভাবিক জনজীবনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকেই শীত পড়তে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে আকাশ, ঘন কুয়াশায় শহরের কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি।
কর্মব্যস্ত নগরবাসী শীত উপেক্ষা করে গরম কাপড় গায়ে দিয়ে, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে যাচ্ছেন কর্মক্ষেত্রে। অনেকে আবার রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন। হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রাস্তার পাশে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, পল্টন, ধানমন্ডি, জিগাতলা, রায়েরবাজর ঘুরে এসব গরম কাপড়ের দোকান লক্ষ্য করা গেছে। এ সব দোকানে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
অধিকাংশ দোকান মানুষ ঘিরে রেখেছে। তারা পছন্দমতো কিনছেন নানা ধরনের গরম কাপড়। কেউ কিনছেন নিজের জন্য কেউবা পরিবার-পরিজনের জন্য। এসব দোকানে গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। দাম কম হওয়ার কারণেই এইসব দোকানে মানুষের ভিড় বেশি বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
রাজধানীর জিগাতলা থেকে ট্যানারি মোড় যাওয়ার রাস্তায় বসেছে বেশ কয়েকটি গরম কাপড়ের দোকান।
গরম কাপড় কিনতে আসা সালাম বাতা২৪.কমকে জানান, হঠাৎ শীত পড়ায় গত বছরের গরম কাপড় বের করা হয়নি। তাই বলে তো শীতে কষ্ট করা যাবে না। এজন্য গরম কাপড় কিনলাম। আমার জন্য ২০০ টাকা দিয়ে একটা জ্যাকেট কিনেছে। আর ১৫০ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রীর জন্য একটা উলের সোয়েটার কিনেছি।
তিনি আরও বলেন, রাস্তার পাশে এসব দোকানে গরম কাপড়ের দাম অনেক কম। মান তেমন একটা ভালো না। তবে একটু দেখে শুনে নিতে পারলে অনেক সময় ভালো জিনিস পাওয়া যায়।
উল্লেখ, বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীতে তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।