দেশের অন্যতম প্রাচীন রেল কারখানার অবস্থান পাহাড়তলীতে। এ কারখানায় মূলত কোচ ও মালবাহী গাড়ি মেরামত করা হয়। এখানে যেসব আন্তঃনগর কোচ তৈরি এবং মেরামত করা হচ্ছে, তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী ও ভালোমানের ম্যাটেরিয়াল। ফলে এসব কোচ হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং এগুলোতে থাকবে নতুনত্ব।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে পাহাড়তলী কারখানার ক্যারেজ সপ ঘুরে দেখার সময় কারখানার কর্মকর্তারা বিষয়টি নজরে আনেন। তারা জানান, কোচগুলো ভালোভাবে মেরামত করার জন্য রেল কারখানার যে ২২টি শপ আছে, সেগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
কারখানা ঘুরে দেখা যায়, আগে যেখানে আন্তঃনগর গাড়িতে সিমেন্ট ব্যবহার করা হতো, সেখানে বর্তমানে প্লাস্টিক উড ব্যবহার করা হচ্ছে। এমএস ফ্লোর সিটের পরিবর্তে এসএস সিট ব্যবহার করা হচ্ছে। গাড়ির জানালায় এসেছে পরিবর্তন। অ্যালুমিনিয়াম জানালার পরিবর্তে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে এসএস জানালা। এছাড়া সব দরজার হ্যান্ডেল ও ফিটিংস এমএস এর পরিবর্তে এসএস করা হচ্ছে। আন্তঃনগর একটা কোচে সাধারণত দু’টি বাথরুম থাকে। বাথরুমগুলোতেও কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আন্তঃনগর গাড়ির দু’টি বাথরুমের মধ্যে একটিতে প্যান এবং অন্যটিতে এসএস হাই কমোড বসানো হচ্ছে।
এদিকে, কারখানা কর্তৃপক্ষ আন্তঃনগর সব ট্রেনের বগির ইন্টেরিয়রের দিকেও নজর দিচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্তঃনগর সব ট্রেনের চেয়ার আগের তুলনায় সুন্দর ও আরামদায়ক করা হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানার ওয়ার্কার্স ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, যাত্রীদের ভালোমানের ট্রেন দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাত্রীরা যেন ট্রেনে ওঠার পর কমফোর্ট ফিল করে, বসার জায়গাটা যেন সুন্দর হয়, দুই সিটের মাঝখানে যেন পর্যাপ্ত জায়গা থাকে-এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে আমরা অনেক কিছুতে পরিবর্তন এনেছি। আন্তঃনগর ট্রেনের দরজা, জানালাসহ সব কিছুতেই আধুনিকতা আনার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে আমরা হাই কমোডযুক্ত বাথরুমের ব্যবস্থা করছি। যাতে যাত্রীরা কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন।