আমরা বিশ্বের সঙ্গে একমত রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি যেহেতু মিয়ানমারে সৃষ্টি হয়েছে তাই এর সমাধানও সেই দেশকেই করতে হবে বলে জানিয়েছেন কানাডার হাই কমিশনার বেনোইট প্রফন্টেইন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে "বাংলাদেশ-কানাডার সম্পর্ক: অংশীদারিত্বের কৌশল নির্ধারণ" শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন।
কসমস ফাউন্ডেশন এ সিম্পোজিয়ামটি আয়োজন করে।
বেনোইট প্রফন্টেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু সংকটে কানাডা অন্যতম সহায়তাকারী দেশ হিসেবে প্রথম কাতারে রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর অবরোধ কার্যকরে কানাডা জোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কানাডার জনগণ সবসময়ে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। বহু বছর ধরেই কানাডার ঐতিহ্য রয়েছে বিশ্বে উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস রোধে কানাডা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে দেশীয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাস দমনের চেয়ে প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো এ খাতে কানাডা বেশ সহায়তা দিয়ে থাকে। এ ইস্যুতে বাংলাদেশ ভূ রাজনৈতিক কারণে কানাডার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
কানাডার হাই কমিশনার জানান, গত ১৪ বছরে কানাডার বাণিজ্যিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। বাংলাদেশ বিশাল কর্মক্ষম মানুষের দেশ। এই দেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম বর্ধনশীল অর্থনীতি। কানাডার ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আরো আগ্রহ দেখাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহিদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই ঝামেলা মুক্ত। দুই দেশের এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জবাবদিহিতা বিষয়ে কানাডার অবিচ্ছিন্ন সমর্থন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কানাডার ভূমিকার প্রশংসা করেন ।
পররাষ্ট্র সচিব ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, বিআরআই এবং ইউরেশিয়া - এর উদ্যোগের মধ্যে নতুন ওয়ার্ল্ড অর্ডারে কানাডার ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা চান।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান সিংগাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।