বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছেন।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। যা চলবে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত। ধর্মঘটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
মিল সূত্র জানায়, ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টায় নিজ নিজ মিল গেটে সভা করবেন শ্রমিকরা। একই দাবিতে আগামী রোববার আমরণ অনশন এবং ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজ নিজ মিল গেটে আমরণ গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করবেন তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন জানান, খুলনা অঞ্চলের নয়টি পাটকলের প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের নয় থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। এছাড়া সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুই থেকে চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এর ফলে শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। একাধিকবার আশ্বাস দেওয়ার পরও বিজেএমসি এখনো পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন কার্যকর করেনি। ফলে বাধ্য হয়ে এ ধর্মঘট করা হচ্ছে।
এর আগে ধর্মঘটের সমর্থনে খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ন ও আলীম জুট মিলের শ্রমিকরা খুলনা-যশোর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে ইস্টার্ন গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ইস্টার্ন সিবিএ সভাপতি মো. আলাউদ্দিন, আলিম সিবিএ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার, মো. জাকারিয়া হোসেন, হক মহলদার, আব্দুস সালাম, হাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, বদরউদ্দীন বিশ্বাস, সরদার আলমগীর হোসেন, আফসার সরদার, ইউসুফ গাজী, ইজদান আলী, নাজমুল সরদার ও ইদ্রিস আলীসহ অনেকে।