সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের আসবাব ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এর প্রকল্প পরিচালক কৃষ্ণ কুমার পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল দশটা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তার জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক কৃষ্ণ কুমার পাল জানান, প্রকল্পে যে পরিমাণ অর্থ অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে তা বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়ে অনেক বেশি। প্রকল্পটিতে কেনাকাটার জন্য মোট ১৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি মনে করেন, এই প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত করতেই কেউ ষড়যন্ত্র করে দুদকে অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব দিলওয়ার বখত বলেন, অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে তো প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকে না। তদন্ত চলবে তদন্তের মতো আর প্রকল্প চলবে তার ধারাবাহিকতায়। ষড়যন্ত্র করে কেউ অভিযোগ করেছে, এমন হতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্তের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টা পরিষ্কার করা হবে। আবার তদন্তের স্বার্থে যদি তদন্ত কর্মকর্তা চান তাহলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আরও অনেককেই ডাকা হতে পারে।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যা হাসপাতালের উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে কাজে অনিয়ন ও দুর্নীতি হচ্ছে এমন অভিযোগ আসার পর তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক।
দুদক উপ-পরিচালক সামছুল আলমকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান দল কৃষ্ণ কুমার পালকে তলব করে এবং আজ তাকে দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।