অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 01:57:13

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘নন কমিউনিকেবল ডিজিস বা অসংক্রামক রোগ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কমিউনিকেবল ডিজিস নিয়ন্ত্রণে আমরা যেমন দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রাখতে পেরেছি। ঠিক একইসঙ্গে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ বা অসংক্রামক রোগ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ক্যান্সার, কিডনি, ডায়াবেটিস রোগ ও মেন্টাল হেলথের সমস্যা বেড়েছে । এ সমস্ত রোগের ৬৭ শতাংশ লোক মারা যাচ্ছে।’

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বহু খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২৫ এর অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে জনগণের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাওয়া-দাওয়াতে একটা বড় সমস্যা রয়েছে। কোনো খাবার বেশি খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, আবার কম খাওয়াও ক্ষতিকর, তাই আমাদের পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। আমাদের দেশের ৯০ ভাগ মানুষই সবজি খান না, যার ফলে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এর জন্য তাদেরকে সচেতন করতে হবে।’

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘সুস্থ থাকার জন্য আমরা হাঁটার কথা বলছি। কিন্তু নিরাপদে হাঁটার জন্য জায়গার অনেক অভাব রয়েছে।’

অসংক্রামক রোগে সচেতনতা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষ যদি এই রোগ সম্পর্কে জানতে পারে। তাহলে সে নিজেই এর প্রতিরোধ করতে পারবে। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে সকল মন্ত্রণালয় জড়িত। তাই সব মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে এবং কাজ করতে হবে।’

সারা বিশ্বের অসংক্রামক রোগের চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসংক্রামক রোগের মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ,ফুসফুসের রোগ এবং ক্যান্সার। পৃথিবীতে মোট মৃত্যুহারের শতকরা ৬৮ ভাগ এসব রোগের কারণে । যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সকল বয়সের মানুষ এই অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বয়স্কদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তামাকের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম এবং মদের ক্ষতিকর ব্যবহার।’

সাম্প্রতিক ঢাকার বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে ঢাকার বাতাস নাকি সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল পৃথিবীর মধ্যে। এটা আমাদের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসে না ‌। বায়ু দূষণের জন্য ঢাকার আশেপাশে যে সকল ইটভাটা আছে এগুলোই দায়ী। এছাড়া ঢাকা শহরে গাড়ির ধোঁয়াও রয়েছে। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। দূষিত বাতাসের ফলে আমাদের অনেক ধরনের রোগ হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, মেডিকেলে এডুকেশন অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ মোরশেদ আলী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রিনা পারভিনসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর