সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট ঘটনা এটি। বঙ্গবন্ধু হত্যার তিন মাসের মধ্যেই জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই প্রতি বছরের ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
সেই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় চার নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো দিনটিকে স্মরণ করছে আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠনগুলো।
আজকের এই দিবসটি উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচি পালন করেন।
সকাল ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সাড়ে ৮টায় মহানগর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করে। পরে একটি শোক র্যালি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের কলেজ রোডের বাসভবনে গিয়ে শেষ হয়।
কিশোরগঞ্জে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী। গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করছে জেলাবাসী। দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান। বছর ঘুরে দিনটি ফিরে এলে তাকে স্মরণ করে আজও শোকাতুর হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জবাসী।
বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেল হত্যা দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে দলীয়,জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ঝিনাইদহে পালন করা হয়েছে জেল হত্যা দিবস। রোববার সকালে শহরের এইচ এস এস সড়কের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জেল হত্যা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে। রোববার সকালে ক্যাম্পাসে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পরিবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে শোক র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।