রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সহিংসতার ঘটনায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটে বিএনপি-জামায়াতের ৩৫ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- আবু সুফিয়ান, অসীম রেজা, মো. জাহির, মোস্তাক আহমেদ ওরফে মেজরা, শরীফ দুলাল ওরফে সেতু, সাখাওয়াত হোসেন, মীর কাশেম ওরফে সাহেব, মো. লাভলু, ভকত আলী, আমিনুল ইসলাম, মো. শিহাব, মাসুম আক্তার স্বাধীন, মিনারুল ইসলাম ওরফে মিলন, বুলবুল, গোলাম দোস্তগীর রানা, মো. হিটলার, গিয়াস উদ্দিন, ওমর ফারুক জিহাদী, আবদুল মালেক পান্না, আকবর আলী, মুক্তার আলী, সোহরাব আলী, সাকিম উদ্দিন, মো. ডালিম, বয়েন উদ্দিন বনাব, গোলাম নবী তিতু, মো. সানাউল্লাহ, রনি আহমেদ, বাসির আহমেদ, ইউনুস আলী, আবদুল খালেক শাহ, মামুন হাসান মাইনাস, মো. টনিক, মো. মিলন ও মো. কালাম।
আসামিরা সবাই গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের পালপুর, ধরমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তারা স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত। নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলের জের ধরে সংঘর্ষ হলে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। মামলার বিচার কাজ শুরু করতে সেদিন অভিযোগ গঠন হতে পারে।
তিনি আরও জানান, মামলার এজাহারে ২২ জন আসামির নাম ছিল। তবে তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এজন্য ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে এবং ২১ জন জামিনে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, নিহত ইসমাইল হোসেন দেওপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালপুর ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে গেলে বাধা দিতে যান ইসমাইল। এ সময় তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।