গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রকৌশলী আব্দুল হাইয়ের সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ দুজনের ব্যাংক হিসাব তলবের পাশাপাশি লেনদেন অনুসন্ধান করছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের তথ্য তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এ খবর নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা।
অনৈতিকভাবে কাজ পাইয়ে দিতে প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ১১০০ কোটি ও আব্দুল হাই ৪০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে জানান সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এরপরই তাদের লেনদেন অনুসন্ধান করতে ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম আরও জানান, প্রতি টেন্ডারে ৮-১০ শতাংশ কমিশন দিতে হতো তাকে। অনেক সময় নির্দিষ্ট কমিশনের পরও ঘুষ দিতে হতো। পূর্ববর্তী ও ভবিষ্যতের কাজ পেতে এ পর্যন্ত গণপূর্ত অধিদফতরের সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে তিনি ঘুষ হিসেবে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। গণপূর্তের ঢাকা জোনের আরেক সদ্য সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাইকে ৪০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে জানান জি কে শামীম।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম অবসরে যান। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সেখানে একচ্ছত্রভাবে ঠিকাদারি কাজ পান শামীম। তবে রফিকুল অবসরে যাওয়ার পরও গণপূর্তে শামীমের প্রভাব কমেনি। কমিশন দিয়ে নিজের প্রভাব বলয় বজায় রাখেন তিনি। গণপূর্তে এমন কথা প্রচলিত আছে, ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে নানা দফতরে তদবির করে রফিকুলকে প্রধান প্রকৌশলী বানিয়েছিলেন শামীম।