খুলনার প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে রোগী ভোগান্তি ও ডাক্তারদের হয়রানি করার অভিযোগে এ ধর্মঘট পালন করছে।
রোববার (৩০ জুন) সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া এ ধর্মঘট দুপুর ১ টা পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিসিডিওএ) ডাকে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
এদিকে, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: গাজী মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ন্যাশনাল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে রোগীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি, একজন ডাক্তারকে হয়রানি ও ভোক্তা আইনের ৭৩ ধারা মানা হয়নি। এসব কারণে আমরা ২ ঘণ্টা কর্মবিরতী পালন করছি। ডাক্তারদের নিরাপত্তা বিধান না করলে আমরাও রোগীদের ঠিকমতো সেবা দিতে পারিনা। এজন্য ডাক্তার ও ক্লিনিকের নিরাপত্তা দিতে হবে।
চিকিৎসক ছাড়াই রোগীদের সেবা দিচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) খুলনার টুটপাড়া এলাকায় ন্যাশনাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানে হাসপাতালটিতে কোন চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। চিকিৎসাসেবায় অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নিজস্ব ফার্মেসি থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও অপারেশন কক্ষে অবৈধ প্যাথেডিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে প্রয়োজনীয় কোন যন্ত্রপাতি ছিল না। অভিযানে হাসপাতালটির ছয়জন মালিকের নাম পাওয়া যায়, এরা হলেন- মামুনার রশিদ, ফারহানা ইসলাম, ডা. দিপংকর নাগ, ডা. বঙ্গ কমল বসু, নিমাই চন্দ্র রায়।