রাজশাহী ব্যাটালিয়ন ১ এর হিসকিন কোরাইশী সাম্য নামের এক বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে তরুণী অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় রংপুর কোতয়ালী থানা ও ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে অপহরণ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তরুণীর বাবা আব্দুর রশীদ। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
অপহরণের অভিযোগ ওঠা বিজিবি সদস্য ঠাকুরগাঁও সদরের ইসলাম নগর এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে। বর্তমানে বিজিবি রাজশাহী ব্যাটালিয়ন-১ এ কর্মরত আছে বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে নিখোঁজ হয় ওই তরুণী। মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যের তথ্য পায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। পরে বিজিবি সদস্য সাম্য ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। প্রথমে অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে ৩ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত তরুণীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিজিবি সদস্যের ছোট ভাই মো. রম্য কোরাইশী। তবে বিভিন্ন অজুহাতে কাল ক্ষেপণ করতে থাকে বিজিবি সদস্যের পরিবার। এক পর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করেন বিজিবি সদস্যের পরিবার বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অপহৃত তরুণীর বাবা আব্দুর রশীদ বলেন, আমার মেয়েকে ফিরে পেতে অপহরণকারী সাম্যের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হয়েছে। তার পরিবারের কাছে আকুতি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বরং মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। এমন অবস্থায় আগে নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি থেকে অপহরণের মামলা করি রংপুরে। পরে অপহরণকারীর নিজ এলাকার স্থানীয় থানায় সহযোগীতা চাই । কিন্তু কোতোয়ালি থানা ইনফর্ম করলে আসামিদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় থানা কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। অপহরণকারীরা ঘুরে বেরাচ্ছে। ওরা আমার মেয়েকে গায়েব করার ভয় দেখয়েছে। জানি না আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা। আমি আমার মেয়েকে সুস্থ ও জীবিতভাবে ফিরে চাই।
এদিকে অপহৃত তরুণীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান।
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য সাম্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সাম্যের ভাই রম্য অপহরণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হয় নি। উভয়ের বাবার নম্বরের কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।