প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমরা বিচার বিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এ প্রক্রিয়ায় বার ও বেঞ্চের উভয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বার ও বেঞ্চের সৌহার্দপূর্ণ সর্ম্পক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি রেফার আহমেদ বলেন, আমার বহুদিন পরে চট্টগ্রাম আসা হলো। চট্টগ্রাম আমার ভীষণ প্রিয় জায়গা। বিভিন্ন কারণে প্রায় ৭-৮ বছর আসা হয়নি। আজকে এমন এক সন্ধ্যিক্ষণে এসেছি, যখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরা এক সংস্কার প্রক্রিয়ায় অবতীর্ণ হয়েছি। আজকে সকালেও আমি আদালত এবং বার ও এজলাস ঘুরে দেখেছি। আপনাদের অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেক কিছু বলেছেন, আমি খুব মন দিয়ে আপনাদের বক্তব্য শুনেছি। এগুলো আমি সঙ্গে ঢাকায় নিয়ে যাব। এবং আমি কাজ করার চেষ্টা করব।
‘চট্টগ্রাম বারের সঙ্গে আমার একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার বাবা এসেছিল সেটার একটা ফলক আছে। ওটা দেখলাম এবং মনে হলো তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ বছর পর আমার আসা। সেটা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি, সেটি আমার সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি। তার জন্য অনেক ধন্যবাদ চট্টগ্রাম বারকে।’
প্রধান বিচারপ্রতি বলেন, চট্টগ্রাম বার দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ বার। বিজ্ঞ আইনজীবীরা পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত করে রেখেছেন। বিচারক এবং আইনজীবীর সমন্বয়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। কোনো এক পক্ষকে বাদ দিয়ে বিচার বিভাগ চলতে পারে না।
তিনি বলেন, বিচারক এবং আইনজীবীদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিচারপ্রার্থী জনগণকে সহযোগিতা করা। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তাই বার ও বেঞ্চের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী জনগণের সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে একটি ঘুষ-দূর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
বার অডিটরিয়ামে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এএসএম বদরুল আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কাশেম কামাল। পরে সমিতির সদস্যদের সঙ্গে প্রীতিভোজে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি।