ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল রুটে চলবে ‘সৈকত-প্রবাল’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2025-01-20 12:30:19

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে দুই জোড়া নতুন ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেন দু’টির নাম সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চীপ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কার্যালয় থেকে এসিওপিএস কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার যাত্রী এবং পর্যটকদের সাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ২ জোড়া ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি হলো ৮২১/৮২৪ (সৈকত এক্সপ্রেস) ও ৮২২/৮২৩ (প্রবাল এক্সপ্রেস)। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে সোমবার।

ট্রেনের সময়সূচি হলো:

৮২১ সৈকত এক্সপ্রেস এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে ৯টা ৫৫ মিনিটে। ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ভুলহাজারা, রামু।

৮২২ প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। ষোলশহর, গুমদন্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ভুলহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু।

৮২৩ প্রবাল এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়। ষোলশহর, গুমদন্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ভুলহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু।

৮২৪ সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ভুলহাজারা, রামু।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল পথের এই দুটি ট্রেন বিরতি দেবে ৪টি স্টেশনে। 

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই অঞ্চলের মানুষ এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে ২ জোড়া ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত চলাচল করছে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস এবং পর্যটক এক্সপ্রেস। এই ট্রেন দুটির পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে স্থায়ীভাবে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর