আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভীর ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক এবং অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আবেদনে দুদকের ওই কর্মকর্তা আদালতকে জানান, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ক্ষমতার অপব্যবহার করে, রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক তথ্য পাচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সাবেক এমপি নদভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযুক্তের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান নদভী ও অন্যদের বিরুদ্ধে সম্মানির নামে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ দুদকে জমা পড়ে। তা পর্যালোচনা করে দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
নদভী ও তার স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা সম্মানির নামে ১০ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদভী গাড়ি ক্রয়, ছেলের বিদেশ যাওয়ার খরচ এবং স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ খরচ করেছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে সাবেক এমপি নদভীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে চট্টগ্রামে এনে পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।