নতুন ধানে ব্যস্ততা বেড়েছে চাতাল শ্রমিকদের

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2024-12-25 19:03:55

নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে কৃষকের গোলা। চলতি আমন মৌসুমে সোনার ফসল ঘরে ওঠার সাথে সাথে রংপুরের চাতালগুলোতে বেড়েছে শ্রমিকদের ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততা যেন খেটে খাওয়া মানুষদের আশীর্বাদ। মৌসুমী কাজে অলস সময় পার করে হাসি ফুটেছে শ্রমিকদের মুখে।

সরেজমিনে ঘুরে রংপুরের মীরবাগ, পানবাজার, মাহিগঞ্জ, মিঠাপুকুরসহ বেশ কিছু স্থানে দেখা গেছে, বন্ধ চালাতগুলোতে শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা। চলতি মৌসুমের আগেও চাতালগুলোতে বিরাজ করছিল শ্রমিক শূন্যতা। তবে বর্তমানে প্রাণচাঞ্চল্য চাতালে কাজের ধুম পড়েছে শ্রমিকদের মাঝে। ধানকাটা ও মাড়াইয়ের পর সিদ্ধ শেষে এখন চলছে শুকানোর কাজ। ধান শুকাতে ফুসরত মিলছে না শ্রমিকদের। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাতালেই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ এই মৌসুমে শ্রমিকদের।

রংপুরের পানবাজার এলাকায় চাতালে ধান শুকাতে দেখা যায় কয়কজন শ্রমিককে। আলাপকালে রাশেদা বেগম বলেন, অভাবের সংসার কাম না করি খাও কি। ছইল পইল ধরি হামার কষ্টের শ্যাষ নাই। স্বামী দিন মজুর যখন যা পায় তাই করে। ধান কাটা মারির পর চাতালোত কাম হয়, তখন একনা ট্যাকার মুখ দ্যাখো উপকার হয়। দিন গেইলে ২৫০-৩০০ ট্যাকা পাই হামার ভাল হয়।

রংপুরের মীরবাগ এলাকায় চাতালে ধান শুকানোর কাজ করছে শ্রমিক নারায়ণ চন্দ্র। তিনি বলেন, প্রতি ধানের মৌসুম হামার জইনতে খুবই ভাল। সারাদিন কাম করি টাকা নিয়া খোরাক জোগাই। কাটা মারি না থাকলে কাম থাকে না। জমিত কাম করিয়া খোরাক জোগাই। আশেপাশের এলাকার অনেকেরই কাজ পায়।

চাতালে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিয়ে মাহিগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, চলতি আমন মৌসুমে চালের ব্যবসা প্রায় পুরোটাই অটো মিলারদের হাতে। হাতে গোনা যে কয়েকটি রাইস মিল রয়েছে তা শুধু বোরো ও আমন মৌসুমে সরব হয়ে থাকে। আমাদের ব্যবসা আগের মত নেই। চাহিদা অনুযায়ী আমরা শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দেই, ইচ্ছে থাকলেও বেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার উপায় নাই। একটা সময় চাতালে যেভাবে জমজমাট কাজ ছিল অটো মিলারদের জন্য তা এখন নেই বললেই চলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর