রাজধানীর হাজারীবাগে ইলেকট্রনিক্স দোকানে চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো—মো. বশির (২৮), মো. জাবেদ (৩০) ও মো. জুয়েল (৩২)।
ইলেকট্রনিক্স দোকানে চুরির ঘটনায় সোমবার (২১ অক্টোবর) বাদী মো. কামাল হোসেন (৪০) হাজারীবাগ থানায় একটি চুরির মামলা রুজু করেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে হাজারীবাগ বাজার মসজিদ মার্কেটে ‘গোল্ডেন প্লাস ইলেকট্রনিক্স’ এর একটি দোকানের টিনের চাল কেটে দোকানে থাকা ৫টি টেলিভিশন, ১টি সিসি ক্যামেরা ও নগদ টাকাসহ বেশকিছু ইলেক্ট্রনিক পণ্য চুরি হয়। ওই দোকানের সেলসম্যান বাদী মো. কামাল হোসেন তাৎক্ষণিক তার মালিক মাসুদ রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন। বাদী ও দোকানের মালিক আশপাশের অন্যান্য ডিলারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে চোরকে শনাক্ত ও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করার জন্য ডিলারদের নিয়ে খোঁজ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পারেন বশির নামের একজন তাদের ইলেক্ট্রনিকস দোকানে চুরি করেছে।
বাদী ঘটনার বিষয়টি ২০ অক্টোবর হাজারীবাগ থানা পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বশিরের অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গতকাল (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের সহায়তায় মাহাদীনগরের একটি বাসা থেকে বশিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বশির চুরির কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে তার হেফাজত থেকে ওই দোকান থেকে চুরি হওয়া দুটি ৩২ ইঞ্চি ওয়ালটন এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বশিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগী মো. জাবেদ নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করে।
বশির ও জাবেদ জানায় চুরি হওয়া অন্যান্য মালামাল তারা হাজারীবাগের জুয়েল নামের একজনের কাছে বিক্রি করেছে। থানা পুলিশ তখন হাজারীবাগের বোরহানপুরের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে জুয়েলকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত থেকে ওই দোকান থেকে চুরি হওয়া তিনটি ৩২ ইঞ্চি ভিশন টেলিভিশন উদ্ধার করে।
হাজারীবাগ থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।