স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় তারা রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি ড. এ এস এম ফয়েজ বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা এই মিছিল ও সমাবেশ করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে কয়েক চক্কর দেন। এক পর্যায়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে নায়েমের গলি, নীলক্ষেত হয়ে ইডেন কলেজের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিত অধিভুক্তকরণের খেসারত দিচ্ছেন তারা। শিক্ষাজীবন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এখনো অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অবকাঠামো ও সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। পরীক্ষার ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা, সেশনজটও রয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরেন এই শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ বা অন্য যেকোনো নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা যেতে পারে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সাত কলেজ প্রশাসন এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা যেতে পারে। কমিশন সাত কলেজকে কীভাবে ঢাবি থেকে বের করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হবে এবং কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যাবে এটি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করে সুপারিশ করবে।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চাওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের বৈষম্য, সেশনজট, একাডেমিক ফলে দেরি, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে হয়রানি, শিক্ষক, পরিবহন, আবাসন, ক্লাসরুম ও ল্যাবের সংকটসহ নানা সমস্যাকে দায়ী করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।