চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামি রিপন দাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে মামলার মোট তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর রিপন দাসকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের খাসকামরায় তিনি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দেন রিপন দাস। পরে চিন্ময়কে কারাগারে নেওয়ার সময় সেবক কলোনি এলাকায় গিয়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রিপন দাস জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া ১০ থেকে ১২ জনকে তিনি চিনতে পেরেছেন।
এর আগে গত সোমবার হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস এবং শুক্রবার রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে। এ ঘটনায় হওয়া ৬ মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেফতার হয়েছেন।