সিলেটের বিখ্যাত আলেম, শায়খুল হাদিস আবদুশ শহীদ গলমুকাপনী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
বুধবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি শেখ সাব হুজুর এবং আলেমদের মাঝে শায়খে গলমুকাপনী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮০।
৪ ছেলে ও ৬ মেয়ের জনক শায়খে গলমুকাপনী জামেয়া দারুস সুন্নাহ গলমুকাপনের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস ছিলেন। মাওলানা ফখরুদ্দীন (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর তিনি মুহতামিমের দায়িত্ব লাভ করেন।
শায়খে গলমুকাপনী ১৯৪১ সালে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গলমুকাপন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে গলমুকাপন মাদরাসায় ভর্তি হন। পরে জামেয়া হোসাইনিয়া গহরপুর থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করে মাওলানা সনদ লাভ করেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। জমিয়তের প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে ১৯৯৬ সালে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
অত্যন্ত সহজ-সরল ও দুনিয়াবিমুখ মানুষ হিসেবে তার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। জীবনভর সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে দ্বীনি খেদমত করেছেন।
আল্লামা নুর উদ্দীন গহরপুরী (রহ.)-এর স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। এ ছাড়া শায়খে ধরমন্ডলী (রহ.), শায়খ লুৎফুর রহমান বর্ণভী (রহ.), শায়খে কৌড়িয়া (রহ.) ও শায়খ তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (রহ.), -এর সঙ্গে তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি শায়খ লুৎফুর রহমান বর্ণভী (রহ.)-এর খলিফা।
গলমুকাপন মাদরাসা মাঠে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বেলা আড়াইটায় তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
আত্মীয়তার হক রক্ষা, সামান্য পরিচিত হলেও তার জানাজায় অংশগ্রহণ ও গ্রামাঞ্চলের মাহফিলে গুরুত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ ছিল তার অন্যতম গুণ। আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম নসিব করুন।