মিসরের বিখ্যাত কারিদের কাছ থেকে ইলমে মাকামাত ও ইলমে তাজবিদসহ কোরআনে কারিমের কয়েকটি বিষয়ের ওপর উচ্চ শিক্ষা নেওয়ায় শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিসর থেকে সৌদি আরব হয়ে বাংলাদেশে ফিরলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উস্তাদ হাফেজ শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা জানানো হয়।
সংবর্ধনায় হাফেজ নাছিরীর ছাত্র-ভক্ত, অনুরাগী, খ্যাতনামা আলেম-উলামা, মাদরাসার শিক্ষক ও শুভাকাঙ্খীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার বিজয়ী তারকা হাফেজ তরিকুল ইসলাম, হাফেজ সাইফুর রহমান ও হাফেজ সাআদ সুরাইলও উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা শেষে শায়েখ নাছিরী উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে বলেন, আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি কোরআনে খেদমতে। আমি সব সময় চেয়েছি বাংলাদেশের মেধাবি হাফেজে কোরআনরা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করুক। আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় সেটা সম্ভব হয়েছে। আমার শতাধিক ছাত্র বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী বলেন, মিসর থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছি। এর অন্যতম হলো- আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকমানের কোরআন প্রতিযোগিতার (ইন্টারন্যাশনাল কোরআনিক উইনার নামে) আয়োজন করব। ওই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেবেন। আর বিচারক হিসেবে থাকবেন মিসর, মক্কা ও মদিনার বিখ্যাত কারিরা।
তিনি আরও বলেন, এ বছর জাতীয়ভাবে চ্যানেল নাইনে কোরআনিক উইনার নামে কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বিচারক হিসেবে থাকবেন ক্বারী আব্দুল বাসেতের ছেলে শায়েখ ইয়াসির আব্দুল বাসেত, মিসরের সিদ্দিক আল মিনশাওয়ির ছেলে মাহমুদ সিদ্দিক আল মিনশাওয়ি ও ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার প্রধান কারি আল্লামা শায়েখ আব্দুর রউফসহ বিশ্ববরেণ্য কারিরা।
শায়েখ নাছিরী হাফেজে কোরআন ও কারিদের জন্য বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে প্রশিক্ষণের আয়োজন করবেন বলেও জানান।