৫ লাখ ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশ থাইল্যান্ড। দেশটির লোক সংখ্যা সাড়ে সাত কোটির বেশি। ৯০ শতাংশের বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর দেশ থাইল্যান্ডে ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু ও শিখ ধর্মের লোকেরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারেন।
মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মুসলিম। মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান থাই মুসলমানদের কাছে একটি বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। সেন্ট্রাল ইসলামিক কমিটি অব থাইল্যান্ড মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ। যা রাজা কর্তৃক স্বীকৃত এবং ইসলামি শিক্ষা, হজ, মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও শরিয়া কোর্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সেই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এবার বিশেষ সম্মাননা জানালেন বাংলাদেশের অন্যতম ক্বারি শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফকে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ‘আন্তর্জাতিক মিলাদুন্নবী সা. সম্মেলন-২০১৯’ এ বাংলাদেশের ক্বারি শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারিকে এই বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রাউথ চান-ওচা।
সম্মেলনে ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামসহ মোট ১২ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, থাইল্যান্ডের আলেম-উলামা, মন্ত্রি পরিষদের সদস্য, বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানে মিসরের প্রসিদ্ধ কারি শায়খ ডক্টর আহমাদ আহমাদ নাঈনাকেও সম্মাননা প্রদান করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী।
ডক্টর আহমাদ আহমাদ নাঈনা আরব লীগ কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বের আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ ক্বারিদের সংগঠন ‘ইত্তেহাদুল আরাবি ওয়াদ-দোয়ালী লি-কুররা-ইল-কুরআনিল কারিম’ (ইত্তেহাদুল কুররা আল-আলামিয়া)-এর সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)’- এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব।
শায়খ ক্বারি আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারি বিশ্বের ৪৫টির মতো দেশ সফর করেছেন। এসব দেশের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশ্বের বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় একমাত্র বাংলাদেশি বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত ও ক্বেরাতের পথপ্রদর্শক, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের প্রধান ক্বারি মাওলানা ক্বারি মুহাম্মাদ ইউসুফের বড় সন্তান শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারি।
শায়খ আহমাদ ইউসুফ ২০০১ সালে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। পরে মিসরের আল আজহারের মাহাদুল ক্বিরাত থেকে দীর্ঘ ৮ বছর পড়াশুনা করে ১০ ক্বিরাতের ওপর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ সনদ অর্জন করেন।