সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের প্রাদুর্ভাবের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে সাময়িক সময়ের জন্য আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে দেশটির সব মসজিদ।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল আখবারিয়ায় দেওয়া সাক্ষাতকারে দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ আশ শেখ এ কথা বলেন।
ধর্ম মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়লে প্রয়োজনে মসজিদ বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করা হবে না।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাহায্য নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মহামারি প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দেশের শীর্ষ আলেমদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ড. আবদুল লতিফ আশ শেখ এক বার্তায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মসজিদে নামাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়াসহ নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে স্থগিত করা হয় মসজিদভিত্তিক দাওয়াতি কার্যক্রমসহ বড় বড় সব গণজমায়েত।
নতুন নিয়মানুসারে মসজিদে আজান শেষ হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে নামাজ শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ফজরের সময় ২০ মিনিট বিলম্বের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জুমার নামাজের নির্দেশনায় আজানের ৩০ মিনিট আগে মসজিদ খোলার এবং নামাজ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে মসজিদ বন্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় মুসল্লিদের বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসা ও মাস্ক পরাসহ করোনা প্রতিরোধে ইতোপূর্বে দেওয়া দিক-নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য বলা হয়। সেই সঙ্গে মসজিদের অজুখানা পরিচ্ছন্ন রেখে তাতে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার রাখারও আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ২০২০ সালের মার্চে দেশের সব মসজিদে জামাত বন্ধ ও উমরা পালন বন্ধের বিরল ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। এর প্রায় সাত মাস পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েক ধাপে উমরা চালু করা হয় ও মসজিদে জামাত শুরু হয়।
করোনার কারণে গত বছর শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসকারী কয়েকহাজার মুসলিমকে হজ পালন করার সুযোগ দেওয়া হয়। আগামী হজ ও রমজান বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এরই মধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেনের জেরে মসজিদ বন্ধের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।