বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও জানায়, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ফলে মৃত্যু ঝুঁকি থাকায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন পর্যালোচনার দুইদিন পর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ওই ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের সেই অর্থে কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। ভারতে যেভাবে করোনা প্রতিষেধক হিসেবে ওই ওষুধের ব্যবহার চালু রয়েছে, তা চালু থাকবে। এতে ভয়ের কিছু নেই। শুধুমাত্র খালি পেটে ওষুধটি খাওয়া চলবে না।
স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড সংক্রমণ রুখতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে ভারত শুরু থেকেই সাফল্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আইসিএমআর-এর মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব জানান, গত কয়েক মাস ধরে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের উপরে নিয়মিত নজর রেখেছে এমস, আইসিএমআর ও দিল্লির তিনটি সরকারি হাসপাতাল। তেমন কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্টে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমশ কমে এসেছে।
সম্প্রতি চিকিৎসা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ বলা হয়, নানা দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগের ফলে রোগীদের অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহারের ফলে বমি ভাব, বমি, বুক ধড়ফড়ানির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে ভার্গব জানান, এগুলো সামান্য উপসর্গ। শুধু দেখতে হবে, ওই ওষুধ দেওয়ার আগে রোগীর পেট যেন ভরা থাকে এবং চিকিৎসকের পরামর্শেই যেন ওষুধ দেওয়া হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার