অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষামূলক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ তৈরির সক্ষমতা নিজেদের আছে বলে জানিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ভ্যাকসিনগুলো আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি হতে পারে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ বহুজাতিক কোম্পানিটি।
ব্রেন্টফোর্ড-ভিত্তিক বৃহৎ এই কোম্পানি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনটির বৃহৎ পরিসরে উৎপাদনে যেতে এবং ৪০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করার একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের অর্থায়নে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। তারা ৩০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহের অর্ডার দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (২১ মে) জানিয়েছেন। মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা করছেন অক্টোবরের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।
অন্যদিকে যত দ্রুত সম্ভব ১০০ মিলিয়ন ডোজ প্রাপ্তির চুক্তি রয়েছে ব্রিটেনের। দেশটির মন্ত্রীরা গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, ১০০ মিলিয়ন ডোজের এক তৃতীয়াংশ ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ব্রিটেনের বাণিজ্য সচিব অলোক শর্মা বলেন, সরকার আশাবাদী চলতি বছরের শরৎকালে একটি গণ টিকা কার্যক্রম চালু করতে পারবে।
তবে শীর্ষ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন ২০২১ সালের আগে প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অক্সফোর্ড / অ্যাস্ট্রাজেনেক্যার পরীক্ষামূলক এই ভ্যাকসিন বর্তমানে AZD122 নামে পরিচিত। বানরের শরীরে সফল প্রয়োগের পর এটা এখন মানব দেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
এসব সত্ত্বেও কিছু বিজ্ঞানী সতর্ক করেছেন, আগামী বছর পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে পাওয়া যাবে না।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের শ্লেষ্মা সংক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রবিন শ্যাটক বিবিসিকে বলেছেন, আগামী বছরের শুরুর আগ পর্যন্ত বৃহৎ পরিসরে ব্যবহারের জন্য টিকা সহজেই পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে, এর কোনটি কার্যকরী তা প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য পেতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
অধ্যাপক রবিন শ্যাটক আরও বলেছে, ইম্পেরিয়াল কলেজে তার গবেষক দল যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে সেটাও অসাধারণ গতিতে বিকাশিত হচ্ছে। তবে এটি প্রায় প্রস্তুত বললে তা মিথ্যা প্রত্যাশা হবে।
ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা