করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বর্তমান বিশ্বের এক আতঙ্কের নাম। এ মহামারি ভাইরাস সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। বিশ্বের কম বেশি সবগুলো দেশই তাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৪৭। এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৬ জন মানুষের।
তবে আশার কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ লাখ ২১ হাজার ৮৮৪ জন মানুষ।
প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৬ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১১ জন, স্পেনে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৬ জন, ইতালিতে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৭৬ জন, তুরস্কে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৬২ জন, ইরানে ৯৪ হাজার ৯৬৪ জন এবং ব্রাজিলে ৮৯ হাজার ৬৭২ জন ও করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ৭৯ হাজার ২৯৫ জন।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৯ হাজার ৩১৮ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে প্রথমে আছে যুক্তরাজ্যের নাম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৩৪ হাজার ৭১৬ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৩ জন।
এছাড়া ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৫, মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৯০৮ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ১১১ জন। স্পেনে করোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৮, মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৬৩। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮, প্রাণহানি হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৮ জনের।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে ৯৫ হাজার ৬৬৪ জন মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৭৯৫ জন মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ২৬৮। এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে ৩২৮ জনের প্রাণহানি হলো। আর মোট ৪ হাজার ৩৭৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসে মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।